ajbarta24@gmail.com বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে চীন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:০৪ পিএম

সংগৃহীত

ওয়াশিংটন-বেইজিং দ্বৈরথের জেরে এবার বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। ব্লুমবার্গে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বোয়িং থেকে নতুন করে বিমান না কিনতে চীনা এয়ারলাইনসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে শি জিনপিং সরকার।

পাশাপাশি বোয়িং নির্মিত বিমানের যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও চীন নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

বেইজিংয়ের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে কার্যত চীন থেকে ব্যবসা গোটাতে হবে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে। জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপে প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস এবং ‘কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফ্ট করপোরেশন অব চায়না’ (কোম্যাক) লাভবান হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তবে ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদন বলছে, বোয়িংয়ের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মার্কিন বিমান সংস্থার তৈরি বিমান ভাড়া নেওয়ার জন্য চীনা সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে জিনপিং সরকার। প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, চীনের শীর্ষস্থানীয় তিনটি বিমান সংস্থা— এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস এবং চায়না সাদার্ন এয়ারলাইনস ২০২৫-২৭ সালের মধ্যে যথাক্রমে ৪৫, ৫৩ ও ৮১টি বোয়িং বিমানের কেনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু তাতে বাধ সাধলেন জিনপিং।গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ওপর নানা মাত্রায় পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। এরপর আমেরিকার প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে আমদানি করা পণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোই চীনে নিজেদের পণ্য তৈরি করে।

চলতি বছর মার্চে প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে ২ এপ্রিল এটিকে বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তার পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিং।

চীনের এমন পদক্ষেপে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং তিনি বলেন, ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করলে চীনা পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে এবং ৯ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে।

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করে চীন। বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক বৃদ্ধি করে ১৪৫ শতাংশ করেন ট্রাম্প। এর পরিপ্রেক্ষিতে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

সম্প্রতি বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেই আমেরিকায় চুম্বক ও বিরল খনিজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে চীন। বিভিন্ন চীনা বন্দরে চুম্বকের চালান পাঠানো বন্ধ করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। চীনের নতুন পদক্ষেপে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে আমেরিকা। কারণ, এসব খনিজ ও চুম্বক বৈদ্যুতিক গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

সোর্স: ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর