দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টানা ভারি বৃষ্টি, দুটি ঘূর্ণিঝড় ও একটি টাইফুনের প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১,২৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায়, যেখানে পাহাড়ি গ্রামগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৭৫০ ছাড়িয়েছে। মালাক্কা প্রণালীতে সৃষ্ট বিরল ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়া’ তিনটি প্রদেশে ব্যাপক ক্ষতি করেছে, সরাসরি প্রভাব পড়েছে ১৪ লাখ মানুষের ওপর। আচেহ, উত্তর সুমাত্রা ও পশ্চিম সুমাত্রায় বহু এলাকা এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
ফিলিপাইনে টাইফুন ‘কোটো’র আঘাতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়ার’ প্রভাবে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে; সেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়েছে।
থাইল্যান্ডে চলমান বন্যায় ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সরকার জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থা চালু করেছে। স্বজন হারানো পরিবারগুলোকে সর্বোচ্চ ৬২ হাজার ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত জলবায়ু পরিবর্তন ও লা নিনার প্রভাবেই তীব্র হয়েছে, যা বাষ্প ঘনীভবন ও বৃষ্টিপাতকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মন্তব্য করুন: