শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাদের মতে, বাংলাদেশের ভূগর্ভে বড় ধরনের শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে, যা যেকোনো সময় ছয় থেকে সাত মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ঘটাতে পারে। ভূকম্পবিদরা বলছেন, দেশের চারপাশে থাকা আসাম ফল্ট, টাউকি ফল্ট এবং মিয়ানমারের সেগাইং ফল্টে চাপ বাড়ছে, যা বড় দুর্যোগের ইঙ্গিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্ডিয়ান প্লেট পূর্বদিকে ধাক্কা দিচ্ছে, আর বার্মা প্লেট পশ্চিমদিকে সরে যাচ্ছে। এতে বার্মা প্লেটের নিচে ইন্ডিয়া প্লেট তলিয়ে যাচ্ছে। জিপিএস পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত হয়েছে, এই অঞ্চলে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটার মতো শক্তি জমা আছে।
বুয়েটের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ আর্থক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ইতিহাস অনুযায়ী সাত মাত্রার ভূমিকম্প সাধারণত ১০০–১২৫ বছর পরপর ঘটে। আর আট মাত্রার ভূমিকম্প হয় ২৫০–৩০০ বছরের ব্যবধানে। ১৯৩০ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। সাম্প্রতিক ছোট ভূমিকম্পগুলো বড় ঝাঁকুনির আগাম সংকেত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান রুবাইয়াত কবির জানান, সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ; আর রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মাঝারি ঝুঁকিতে। খুলনা–সাতক্ষীরা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন: