[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৭ কার্তিক ১৪৩২

নিষিদ্ধ কনটেন্টে আসক্তি যেভাবে তরুণদের ধ্বংস করে দিচ্ছে,

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

স্মার্টফোন এখন কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং হাতের মুঠোয় এক বিশাল জগত। আঙুলের এক ছোঁয়ায় খুলে যায় অসংখ্য গল্প, ভিডিও আর ছবি। তবে এই আলোর দুনিয়ায় লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর অন্ধকারও।

অনেক তরুণ-তরুণী এক ক্লিকেই ঢুকে পড়ছে এমন কনটেন্টের ফাঁদে, যা শুধু মানসিকভাবে নয়, আইনগতভাবেও ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে। সহজলভ্য ইন্টারনেট যেমন দিয়েছে তথ্যের জগৎ, তেমনি খুলে দিয়েছে নিষিদ্ধ ভিডিও সংস্কৃতির দরজা, যেখানে কৌতূহল, একাকীত্ব আর প্রলোভন মিলেমিশে তৈরি করছে এক ভয়ানক আসক্তি।

সামাজিক মাধ্যম, শর্ট ভিডিও, বা বন্ধুর পরামর্শে দেখা শুরু হওয়া ভিডিও এক সময় হয়ে ওঠে নেশার মতো। গবেষণা বলছে, প্রতি সোয়াইপ বা ক্লিকে মস্তিষ্কে ডোপামিন নামের রাসায়নিক নিঃসরণ হয়, যা মানুষকে আসক্ত করে ফেলে। ধীরে ধীরে এই আগ্রহ পরিণত হয় অভ্যাসে, আর অভ্যাস গড়ায় অপরাধে।

অনেকে ভিডিও শেয়ার করে, কেউবা সংরক্ষণ বা নিজেরাই কনটেন্ট তৈরি করে। অথচ বুঝতেই পারে না, এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, এর জন্য জেল-জরিমানার বিধান আছে।

শুধু আইনের ভয় নয়, মানসিকভাবেও এটি ভয়াবহ। মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ে, মনোযোগ নষ্ট হয়, সম্পর্ক ভেঙে পড়ে, হতাশা বাড়ে। আজকাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো ডিপফেক ভিডিও আরও ভয়ংকর করছে পরিস্থিতি।

তবে এই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার পথ আছে, সচেতনতা, শিক্ষা, খোলামেলা পারিবারিক আলোচনা এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণই পারে একজন তরুণকে বাঁচাতে।

একটি ক্লিক পারে আলো এনে দিতে, আবার একই ক্লিক গড়িয়ে দিতে পারে গভীর অন্ধকারে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর