বিদেশি বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে স্মার্টফোনের দাম ৫০–৮০ শতাংশ বেশি, যা সাধারণ ক্রেতাকে ক্রমেই প্রিমিয়াম দামের চাপে ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্র বা দুবাই থেকে আনা আইফোন বা স্যামসাং মডেল ঢাকায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন এখন প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি, কিন্তু উচ্চ শুল্ক ও নীতিগত জটিলতা তা অনেকের নাগালের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।
বর্তমানে বৈধ ফোন আমদানিতে সম্মিলিত ৫৭–৬১ শতাংশ কর দিতে হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা; কিন্তু এতে দাম বেড়েছে, বৈধ আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গ্রে মার্কেট আরও শক্তিশালী হয়েছে। অনুমোদনহীনভাবে আনা ফোন ৩০–৫০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হওয়ায় বৈধ বাজার প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
স্থানীয়ভাবে সংযোজিত ফোনেও ১৮–২২ শতাংশ কর থাকায় উৎপাদকরা পুরো সক্ষমতায় কাজ করতে পারছেন না। আমদানিকারকরা বলছেন, কর–বহির্ভূত নানা খরচ, এলসি অনিশ্চয়তা ও সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় মূল্য আরও বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, কর ২৫–৩০ শতাংশে নামানো গেলে বাজার স্থিতিশীল হবে, গ্রে মার্কেট সংকুচিত হবে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়বে। এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেট শনাক্তে সহায়ক হতে পারে, তবে মূল সমাধান নীতিগত সংস্কারেই।
মন্তব্য করুন: