ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত ‘বাড়াবাড়ি’ এবং ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ফের মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোচবিহারের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বিএসএফকে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করে বলেন, সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি বরদাস্ত করা হবে না। বাংলা ভাষায় কথা বললেই কাউকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ আলাদা সত্তা, ভাষা দিয়ে পরিচয় নির্ধারণ হয় না।
বিজেপির বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাস, সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও বাংলার মনীষীদের প্রতি অসম্মানের অভিযোগও তোলেন তিনি। মন্তব্য করেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদান বোঝে না বিজেপি; ক্ষুদিরাম, রামমোহন, বিদ্যাসাগরসহ অসংখ্য মনীষীকে অপমান করা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতেও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা। অভিযোগ করেন, অন্য রাজ্যের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো নিয়ম না মেনে বাংলায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে, যা তিনি বরদাস্ত করবেন না। পুলিশকে রাতের টহল বাড়ানোর নির্দেশ দেন এবং ভোটার তালিকা সংশোধনে কড়াকড়ির তাগিদ দেন।
বক্তব্যের শেষাংশে মমতা দাবি করেন, বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে ‘হাতের পুতুল’ বানিয়েছে এবং দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে ফেলেছে।
মন্তব্য করুন: