অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রেইনফরেস্ট এখন কার্বন শোষণের বদলে বাতাসে কার্বন নিঃসরণ করছে, যা ইতিহাসে প্রথম কোনো রেইনফরেস্টের ক্ষেত্রে ঘটল। গত ৫০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এ বন প্রতিবছর একরপ্রতি গড়ে ৫৫৩ পাউন্ড কার্বন শোষণ করত।
কিন্তু ২০১০–২০১৯ সালে তা উল্টো হয়ে ৮৩০ পাউন্ড কার্বন নিঃসরণে পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞান জার্নাল নেচার-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, গাছের দ্রুত মৃত্যু, খরা, শুষ্ক বাতাস ও ঘূর্ণিঝড় এই পরিবর্তনের মূল কারণ। ফলে বনাঞ্চলগুলো যেভাবে ‘কার্বন সিঙ্ক’ হিসেবে কাজ করত, তা এখন প্রশ্নের মুখে।
গবেষণার প্রধান লেখক হান্নাহ কার্ল বলেন, “এটি পৃথিবীর জন্য একটি সতর্কবার্তা—রেইনফরেস্টও আর জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ সহ্য করতে পারছে না।” তিনি সতর্ক করেন, যদি এ প্রবণতা বাড়ে, তাহলে অন্যান্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনও একই পরিণতির মুখে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার এই পরিবর্তন দেখায়—জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তব প্রভাব কতটা গভীর। দীর্ঘদিন ধরে রেইনফরেস্টকে পৃথিবীর “সবচেয়ে বড় কার্বন ফিল্টার” হিসেবে ধরা হলেও, এখন তা নিজেই হয়ে উঠছে কার্বন নিঃসরণের উৎস—যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে।
মন্তব্য করুন: