বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মতো মানুষ যদি বলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের ডকুমেন্টস তিনি রাখেননি, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া দরকার তা ছাত্রসমাজই নির্ধারণ করবে। ২১ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, গত ৫ আগস্টের পর আমরা হয়ত ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে পারিনি। সে অর্থে বিপ্লবী সরকার বা জাতীয় সরকার গঠন করতে পারিনি। যে কারণে চুপ্পুর মতো মানুষ এখনও প্রেসিডেন্টের মতো পদে বসে আছে। তার মতো মানুষ, আজকে তিনি বলছেন শেখ হাসিনার রিজাইন পেপার নাকি তিনি দেখেননি। কোন সাহসে তিনি এ কথা বলতে পারেন?
ফ্যাসিস্টের মাথাটি সরেছে কিন্তু তাদের সিস্টেম রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই মাথাটি এমন একটি জায়গায় আছে, সেই জায়গা থেকে এই মাথাটি কোনো এজেন্সি বা দেশের মাধ্যমে হোক কুচক্র বা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছে আমাদের মধ্যে বিভাজন করার জন্য। আমাদের মতামত বা রাজনীতি মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কর্মপরিকল্পনা ভিন্ন হতে পারে কিন্তু একটি প্রশ্নে আমাদের এক হতে হবে, যখন এই ফ্যাসিস্টরা কোনো ধরনের অপচেষ্টা বা বাংলাদেশে নোংরা রাজনীতির চেষ্টা করে তখন নামতে হবে। সবাইকে নামতে হবে। পাঁচ মিনিটের নোটিশে হলেও নামতে হবে।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, জাতীয় পার্টি হলো একটি বিবেকহীন দল। যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দিয়েছে। তাদের নিয়ে রাজনৈতিক টেবিলে আলোচনা করার যুক্তি নেই।
মন্তব্য করুন: