বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। আগের বছরের থেকে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছর এই সূচকে বাংলাদেশ ছিল ৩২তম অবস্থানে। এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম।
সিডনিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) এ বছরের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে এ কথা বলা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের প্রধান বৈশ্বিক প্রবণতা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক করা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে স্কোর গণনা করা হয়। গত পাঁচ বছর প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করছে আইইপি। তাদের ১২তম সংস্করণে বলা হয়েছে- ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক গড়ের তুলনায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কম প্রভাব দেখা গেছে। জিটিআইয়ের ২০২৫ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩ দশমিক ০৩।
শূন্য থেকে ১০ স্কোরের হিসেবে কোনও দেশ শূন্য পেলে সেই দেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব নেই বলে ধরে নেয়া হয়। এছাড়া কোনও দেশ ১০ স্কোর পেলে সেই দেশে সন্ত্রাসবাদের সর্বাধিক প্রকোপ রয়েছে বিবেচনা করা হয়। এ বছর বিশ্বের ১৬৩ দেশকে নিয়ে ১০০টি স্থান নির্ধারণ করেছে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস। বিশ্বজুড়ে এক বছরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা, হামলায় নিহত অথবা আহত ও সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মির পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের এই সূচক তৈরি করে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস। সিডনিভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান বলেছে, সন্ত্রাসবাদ এখনও বৈশ্বিক হুমকি হিসাবে রয়ে গেছে। বছরে অন্তত একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে- এমন দেশের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ২০২৪ সালে ৫৮ থেকে বেড়ে ৬৬ হয়েছে। সূচকে উন্নতি করা দেশের তুলনায় সন্ত্রাসবাদের অবনতি ঘটা দেশের সংখ্যা গত সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ৪৫টি দেশে সন্ত্রাসবাদের অবনতির বিপরীতে উন্নতি ঘটেছে মাত্র ৩৪টি দেশে।
সত্র: মানবজমিন
মন্তব্য করুন: