নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানী শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নগর উন্নয়ন, অপরাধ দমন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং আবাসন সংকটসহ একাধিক ইস্যুতে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ট্রাম্প ও মামদানীর হ্যান্ডশেক বিশেষ নজর কাড়ে।
ট্রাম্প বলেন, নিউইয়র্ক আমেরিকার প্রাণ। শহরটিকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য রাখতে ফেডারেল সরকার সহযোগিতা করবে। তিনি আরও জানান, নিউইয়র্কের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ কমাতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। মামদানীকেও অভিনন্দন জানান প্রেসিডেন্ট। তাঁর ভাষায়, রাজনীতি যাই হোক, ভালো কাজ করলে তকমা বদলে যায়।
মেয়র মামদানী কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা চেয়ে বলেন, অভিবাসন সংকট, অপরাধ দমন, সহজলভ্য আবাসন ও খাদ্য নিরাপত্তা, সব ক্ষেত্রেই নিউইয়র্কবাসী দ্রুত সমাধান চায়। তবে বৈঠকের এক পর্যায়ে তিনি গাজায় ইসরাইলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান। তাঁর মতে, আমেরিকানদের করের টাকা যুদ্ধ নয়, মানবিক প্রয়োজনেই ব্যয় হওয়া উচিত।
মামদানী বলেন, গাজায় স্কুলহীন হয়ে পড়েছে লাখের বেশি শিশু। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মানা যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। এই অবস্থায় সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ইসরাইল যদি নিউইয়র্ক সফরে মামদানীকে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানায়, তিনি কি বাধা দেবেন? ট্রাম্প প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে শুধু বলেন, এটি আলোচনার অংশ ছিল না এবং সবাইই পরিবর্তনশীল।
মন্তব্য করুন: