ইউক্রেন এখন যুদ্ধের পাশাপাশি ভয়াবহ এক রাজনৈতিক চাপের মুখে। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সতর্ক করেন, দুই দিকেই বিপদ।
তাঁর ভাষায়, ইউক্রেন হয় নিজের মর্যাদা ও স্বাধীনতার ঝুঁকি নেবে, নয়তো যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন হারানোর ভয় আছে। জেলেনস্কি এটিকে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। কিয়েভ এই পরিকল্পনার বেশ কিছু শর্ত আগেই প্রত্যাখ্যান করেছিল। এর মধ্যে রয়েছে পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর আকার কমানো এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, যা মূলত মস্কোর পক্ষে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা সহায়তার ওপর ইউক্রেন ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তাই ওয়াশিংটনের চাপ উপেক্ষা করা কিয়েভের জন্য কঠিন হবে। তবুও জেলেনস্কি জানান, তিনি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা কিয়েভকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে পুতিন বলেছেন, মার্কিন পরিকল্পনাই শান্তির ভিত্তি হতে পারে এবং কিয়েভ না মানলে রুশ সেনাদের অগ্রযাত্রা চলবে। রাশিয়া পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের কয়েকটি এলাকায় সাম্প্রতিক অগ্রগতির দাবি করছে।
সব মিলিয়ে ইউক্রেনের সামনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সামরিক প্রতিরোধ ধরে রাখা, নাকি কূটনৈতিক সমঝোতায় কঠিন ছাড় দেওয়া।
মন্তব্য করুন: