[email protected] বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভারতের হাতে ঝুলে আছে হাসিনার পরিণতি!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতের আশ্রয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন। এই পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ মামলায় তাকে আজীবন কারাদণ্ড এবং ছয়জনকে হত্যার পৃথক একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

রায় ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশ সরকার ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বান জানিয়েছে, যেন দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

প্রসিকিউটরদের দাবি, আন্দোলনের সময় ড্রোন, হেলিকপ্টার ও অস্ত্র ব্যবহার করে দমন–পীড়নের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা “টপ-অর্ডার কমান্ড” থেকে পরিচালিত হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লি থেকে পাঠানো বিবৃতিতে শেখ হাসিনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, তিনি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিলেও কারও ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল না; সব মামলাই তাকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার কৌশল।

ঢাকা বলছে, দুই দেশের কার্যকর প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে ভারত তাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত কাউকে আশ্রয় দেওয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিরুদ্ধে। তবে ভারত এখনো স্পষ্ট অবস্থান দেয়নি; শুধু জানিয়েছে তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার পক্ষে কাজ করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বাস্তবে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা খুব কম। ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তি ও ২০১৬ সালের সংশোধনী অনুযায়ী ভারত চাইলে রাজনৈতিক অভিযোগের ভিত্তিতে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ভারতের Extradition Act 1962-ও দিল্লিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর