[email protected] মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নিজের বানানো আইন যখন নিজের গলার কাঁটা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ তিনি বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন। রায়ের পর ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে ফেরত পাঠাতে নতুন নোট ভার্বাল পাঠিয়েছে। এতে দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেবে?

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথমবার আনুষ্ঠানিক প্রত্যর্পণ অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। ভারত সাড়া দিলেও পরবর্তী সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কিছু জানায়নি। ভারতীয় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, চুক্তিতে এমন কিছু ধারা আছে যার ভিত্তিতে হস্তান্তর সহজেই প্রত্যাখ্যান করা যায়।

তবে বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভিন্ন। আদালতের রায়ে হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত পলাতক আসামি, ফলে ভারত কেন তাঁকে আশ্রয় দিচ্ছে, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পুনঃপুন অনুরোধ উপেক্ষা করার কারণ স্পষ্ট করতে দিল্লির ওপর চাপ তৈরি হতে পারে।

তারপরও বিশ্লেষকদের ধারণা, ভারত হাসিনাকে ফেরত দেবে এমন সম্ভাবনা কম। ২০১৩ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তিতে উল্লেখ আছে, অভিযোগ রাজনৈতিক প্রকৃতির হলে অনুরোধ খারিজ করা যায়। ভারত চাইলে যুক্তি দেখাতে পারে যে হাসিনার বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা নিরপেক্ষ হয়নি। রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বা পক্ষপাতমূলক উদ্দেশ্যের অভিযোগ থাকলেও অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের সুযোগ রয়েছে।

এ কারণেই বহু পর্যবেক্ষকের মতে, দিল্লি চুক্তির ধারা ব্যবহার করে তাঁকে ফেরত না দেওয়ার পথেই এগোতে পারে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর