নতুন একটি সংবিধান সংশোধন বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
এই বিল অনুযায়ী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যদি কোনো গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার বা আটক হয়ে ৩০ দিন কারাগারে থাকেন, তাহলে তারা পদে থাকতে পারবেন না। তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পদ হারাবেন। এ জন্য তাদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।
গতকাল ২০ আগস্ট ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পার্লামেন্টে পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ।
প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং জনগণের আস্থা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
তবে বিল উপস্থাপিত হতেই সেগুলোকে ‘বিপজ্জনক ও অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে সংসদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। অস্থিরতার মধ্যেই বিতর্কে জড়ায় ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীরা।
বিরোধী দলগুলো মনে করছে, এই বিল কার্যকর হলে কেন্দ্র সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগে তাদের কারাগারে পাঠাতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদচ্যুত করতে পারবে।
ফলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতৃত্বকে বিচার ছাড়াই সরিয়ে দেওয়া যাবে, যা ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোর সম্পূর্ণ বিরোধী। সে কারণেই লোকসভায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিলের কাগজ ছিঁড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ছুড়ে মারা হয়।
সোর্স: সমকাল
মন্তব্য করুন: