ajbarta24@gmail.com সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
৯ পৌষ ১৪৩১

এরদোয়ানের শত্রু ফেতুল্লা গুলেনের আসল পরিচয়

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ২০:১০ পিএম

ফাইল ছবি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শত্রু দেশটির অন্যতম নেতা ফেতুল্লা গুলেন মারা গেছেন।

২৩ অক্টোবর আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জাননো হয়েছে।

গুলেনের বিরুদ্ধে এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে দেশটিতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর জানানো হারকুল ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সোমবার জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

গুলেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে ভয়াবহ আক্রমণের পেছনে তিনি ছিলেন। এ আক্রমণে দেশটিতে ২৫২ জন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত ২৭০০ জন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাকে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করে থাকেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন গুলেন।

গুলেন তুরস্ক এবং তুরস্কের বাইরে হিজমেত নামের একটি শক্তিশালী ইসলামী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এক সময় তিনি এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। তবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের দিকে সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দেখা দেয়।

তুরস্কের এ নেতা ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বঘোষিত নির্বাসনে ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এরজুরামের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন ইমাম ছিলেন। তিনি খুব অল্প বয়স থেকেই কুরআন পড়া আয়ত্ত করেছিলেন।

১৯৫৯ সালে গুলেন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এডিরনে একটি মসজিদে ধর্মীয় প্রবক্তা নিযুক্ত হন এবং ১৯৬০-এর দশকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইজমিরে একজন ধর্মীয় পণ্ডিত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এ সময় তিনি সেখানে ডরমিটরি স্থাপন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মীয় প্রচারণা চালাতেন, যা পরবর্তীতে তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে মধ্য এশিয়া, বলকান, আফ্রিকা এবং পশ্চিমের তুর্কি প্রজাতন্ত্রে ছড়িয়ে পড়েছিল।

প্রসিকিউটর এবং পুলিশের তদন্তে গুলেনের হিজমেতকে আন্দোলনের পেছনে সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়েছিল। এজন্য ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এছাড়া অভ্যুত্থানের দুই বছর পর তার আন্দোলনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এমনকি তাকেও অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়। এরপর গুলেনের আন্দোলন তুরস্কে পদ্ধতিগতভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রভাব হ্রাস পায়।

এরদোগান গুলেনের নেটওয়ার্ককে বিশ্বাসঘাতক এবং ‘ক্যান্সারের মতো’ ক্ষতিকর হিসেবে উল্লেখ করে তাদের মূলোৎপাটন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত শত শত স্কুল, কোম্পানি, মিডিয়া আউটলেট এবং অ্যাসোসিয়েশন বন্ধ ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর