যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের এই সফরেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের মূল্যবান বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি সই করবেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সফরের তথ্য নিশ্চিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
খসড়া চুক্তির বিষয়বস্তুর সাথে পরিচিত একটি সূত্র জানায়, খসড়া চুক্তিটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেয়া হয়নি তবে বলা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র চায় ইউক্রেন মুক্ত, সার্বভৌম এবং নিরাপদ থাকুক।
চুক্তির সাথে পরিচিত আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ওয়াশিংটন এবং কিয়েভের মধ্যে ভবিষ্যতের অস্ত্রের চালান নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।
ভলোদিমির জেলেনস্কি এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তিকে প্রাথমিক হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, তিনি চান যে এই চুক্তির মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্ত হোক- যাতে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর নতুন করে কোনো আগ্রাসন চালালে তা প্রতিহত করা যায়।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব বেশি’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেবে না, বরং ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দেয়ার এই দায়িত্ব ইউরোপের নেয়া উচিত।
বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বিরল খনিজ পদার্থ উত্তোলন করতে ইউক্রেনের মাটিতে আমেরিকার কর্মীদের উপস্থিতিই ইউক্রেনকে ‘স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা’ দেবে।
তিনি আরও বলেন, কিয়েভকে ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার চিন্তা ‘ভুলে যেতে’ হবে। এসময় তিনি রাশিয়ার দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন যে এই বিষয়টিই যুদ্ধ শুরুর অন্যতম কারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘মানুষ মারা বন্ধ করতে আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে একটি চুক্তি করবো।’
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদের বিরোধিতা করে আসছে। কারণ রাশিয়া মনে করে, এটি হলে ন্যাটোর সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সীমান্তের খুব কাছাকাছি চলে আসবে।
সোর্স: সময়
মন্তব্য করুন: