[email protected] সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
২৫ কার্তিক ১৪৩২

মিথ্যার পর্দা টেনে সত্য লুকাতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে হাসিনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

দিল্লির দরবারে দাঁড়িয়ে আজ এক পলাতক। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে শেখ হাসিনার মুখ আর সরাসরি দেখেনি কেউ। তবুও খবরের শিরোনামে তিনি বারবার। বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠনের পর থেকেই চলছে অভিযোগ ভারতের রাজধানীতেই বসে তিনি নিজের পুরনো প্রভাব ব্যবহার করে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ১৪০০ মানুষের প্রাণহানির দায়ও এখন তার কাঁধে।
তবে শেখ হাসিনা বরাবরই মুখরা, আত্মবিশ্বাসী, এমনকি আক্রমণাত্মকও।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস–কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
“আমরা জনগণের দল। নির্বাচনই আমাদের শক্তি। কাউকে ভয় পাই না।”

গণহত্যা, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগের জবাবে হাসিনার কণ্ঠে কোনো অনুশোচনা নয়, বরং অবজ্ঞা।
তিনি দাবি করেন, তার সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৪৫০ শতাংশ বেড়েছিল।
“২৩৪ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”
তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, প্রশাসনের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীরাই সহিংসতা উসকে দিয়েছিল।

কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অন্য গল্প বলে।
২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতায় নিহত হন অন্তত ১৪০০ মানুষ
যাদের অধিকাংশই ছিলেন নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ নাগরিক।
প্রতিবেদন বলছে, নির্বিচারে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী
যাদের নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা নিজেই।

তবুও ইতিহাসের দায় এড়াতে চাচ্ছেন তিনি।
রয়টার্স, এএফপি, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, সব আন্তর্জাতিক মাধ্যমেই একই সুরে কথা বলেছেন হাসিনা।
একই ভাষা, একই যুক্তি
সব দায় চাপিয়ে দিয়েছেন নিজেরই তৈরি সেই নিরাপত্তা যন্ত্রের ঘাড়ে।

আজ তিনি আছেন দিল্লিতে, রাজনৈতিক আশ্রয়ে;
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ছায়া এখনো ঘন।
স্বৈরাচাররা কখনো দায় নেয় না—ইতিহাস তার সাক্ষী।
তারা বরং দায়কে ঢেকে রাখে যুক্তির মোড়কে।
আর শেখ হাসিনাও এখন সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
একজন পতিত নেতা, যিনি এখনও নিজের প্রতিচ্ছবিতে খুঁজে ফেরেন হারানো ক্ষমতার ছায়া।

 

 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর