জামায়াতে ইসলামী ‘শরিয়াহ্ শাসন কায়েম’ থেকে সরে এসে এখন ‘ইনসাফভিত্তিক সমাজ’ ও ‘ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। সর্বশেষ গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে দলটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতি-অবিচারমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
দলটি নারী নেতৃত্বকে প্রকাশ্যে এনেছে এবং বিভিন্ন দেশে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অমুসলিম প্রার্থী ও হিজাববিহীন নারীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উদারীকরণের পথ অনুসরণ করছে জামায়াত।
মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে দলের অবস্থান পরিবর্তন হলেও ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য নেই। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দল সমতা ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক চাইছে, তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতি বা মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে প্রতিবাদ জানাবে। জামায়াত এখন মূলত গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলামী কল্যাণ ও সামাজিক ন্যায় নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।
মন্তব্য করুন: