একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে একজন ব্যক্তির অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার স্বাধীনতা সংগ্রামের পদক্ষেপগুলোতে ভূমিকা ছিল কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে একজন ব্যক্তির অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার স্বাধীনতা সংগ্রামের পদক্ষেপগুলোতে ভূমিকা ছিল কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না।
২০ অক্টোবর রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ ছিল না।
মাহমুদুর রহমান দাবি করেন, গত দেড় দশক গণমাধ্যম সমাজে ঘৃণা ও বিভাজন তৈরি করেছে। গণমাধ্যম ব্যস্ত ছিল আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দনায়।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পরে কি করা হলো? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিবৃত করা শুরু হয়ে গেলো এবং একজন ব্যক্তির বন্দনা করা শুরু হয়ে গেলো। এই ব্যক্তির স্বাধীনতা সংগ্রামের যে স্টেপ তাতে ভূমিকা ছিল, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না। সেই ব্যক্তির নাম শেখ মুজিবুর রহমান।’
ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ফ্যাসবাদীর বয়ান নির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এ আলোচনায় বক্তারা বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের গণমাধ্যম গণমানুষের ছিল না। তারা কথা বলতে একটি দলের হয়ে, একজন ব্যক্তির হয়ে। শুধু তাই নয়, পত্রিকা ও টেলিভিশনের সম্পাদকরা মালিকপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সফিকুল আলম জানান, গণমাধ্যমকে সব মতের সাংবাদিককে ধারণ করতে হবে। ১৫ বছরে কে কী ধরনের সাংবাদিকতা করেছে, তা-ও নিজেদেরই খুঁজে বের করার তাগিদ দেন তিনি।
সফিকুল আলম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমাদের পত্রিকাগুলো, আমাদের টেলিভিশন স্টেশনগুলো ভয়ানক রকমের, একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর অধিকার কেড়ে নেওয়ার যে সাংবাদিকতা করেছেন, সেটার নিজেরাই অনুসন্ধান করবেন। করে জানাবেন যে না আমাদের এখানে এখানে ভুলগুলো হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে গণমাধ্যম সাধারণ মানুষকে সঠিক তথ্য দেয়নি। ভবিষ্যতেও এমনটি ঘটলে আবারও ফ্যাসিবাদের কাছে হেরে যাবে দেশ।
মন্তব্য করুন: