আবারও যেন রাজপথে নামতে না হয়, এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
আবারও যেন রাজপথে নামতে না হয়, এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
১৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সাইফুদ্দিন আহমেদ মণির স্মরণসভায় তিনি এই দাবি করেন।
ফারুক বলেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে। সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা সরকারি পদগুলোতে বসার সুযোগ খুঁজছে। কিন্তু দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না,’ বললেন জয়নুল আবদিন।
বিচারের নামে যারা প্রহসন করেছে তারা এখনও সপদে বহাল তবিয়তে টিকে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। যারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, আয়না ঘরের সৃষ্টি করেছে; তাদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকেই।’
সকালে প্রেসক্লাবের বাইরের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দুমাস হয়ে গেছে, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা গণহত্যা চালিয়েছে অনতিবিলম্বে তাদের বিচার হতে হবে।’
নির্বাচন নিয়ে সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এত অপেক্ষা কিসের আপনাদের। ভোটের আশায় মানুষ শেখ হাসিনাকে নামিয়েছে। একটা দিনতারিখ দিয়ে সব কাজ শুরু করেন।’
বঙ্গবন্ধুর পরিবারে এত বড়বড় চোর তৈরি হবে মানুষ ভাবেনি উল্লেখ করে দুদু বলেন, ‘পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে হবে। আপনারা কাজ শুরু করেন। যতটুকু পারবেন করেন, বাকিটা করবে নির্বাচিত সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিচক্ষণ লোক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে সমর্থন করেছি। কিন্তু সবকিছুর একটা সময়সীমা রয়েছে। তা নাহলে জাতির জন্য ভালোকিছু বয়ে আনবে না। আপনাকে সমর্থন করি ভোট ও ভাতের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য।’
মন্তব্য করুন: