ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংশ্লিষ্টদের মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা যাবে না- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন বিজ্ঞপ্তিকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরবর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটি বলছে, ওই আন্দোলনের নামে যারা পুলিশ হত্যা, মানুষ পিটিয়ে জখম, আগুন সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিনষ্ট করেছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাদের অপকর্মের দায়মুক্তি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংশ্লিষ্টদের মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা যাবে না- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন বিজ্ঞপ্তিকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরবর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটি বলছে, ওই আন্দোলনের নামে যারা পুলিশ হত্যা, মানুষ পিটিয়ে জখম, আগুন সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিনষ্ট করেছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাদের অপকর্মের দায়মুক্তি।
১৫ অক্টোবর, সোমবার বিকেলে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আওয়ামী লীগ এসব মন্তব্য করে।
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালে হত্যা, খুন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে ড. ইউনুস ও তার দল অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে। এরপর হত্যাকারী ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছে।’
আওয়ামী লীগ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এমন ঘটনা যেন ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরবর্তী সকল ঘটনার পুনরাবৃত্তি! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনিদের যেমন ইনডেমনিটি দিয়েছিল খন্দকার মোশতাক ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের হত্যা, খুন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক দেশত্যাগ করিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার পর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে ড. ইউনূস ও তার পরিষদ হত্যাকারী ও দেশের সম্পদ ধ্বংসকারী, চক্রান্তকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাচ্ছে।’
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘১৫ আগস্টের খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি খন্দকার মোশতাক। জনগণ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মহান জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল করে হত্যাকারীদের বিচার করেছে। ইনশাআল্লাহ খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না আবারও বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণ এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ইউনূসের ইনডেমনিটি বাতিল করে সকল হত্যাকারী, লুণ্ঠনকারী অগ্নিসংযোগকারী ও দেশের সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই করবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে যে সকল হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ সংগঠিত হয় সেগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল এনকোয়ারি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, জাতিসংঘের কাছে উন্নত প্রযুক্তিসহ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার জন্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউনূস জুডিশিয়াল কমিটির তদন্ত স্থগিত করে দেন।
আওয়ামী লীগ বলছে, ‘ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশ্ব মিডিয়ায় বলেছেন জুলাইয়ের আন্দোলন ছিল একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং মাস্টারমাইন্ডের মাধ্যমে তা পরিচালিত হয়। এর মানে হলো আন্দোলনের সময় যতো হত্যা হয়েছে তা প্রিপ্ল্যানিংয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। যারা এই কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে এবং ৫ আগস্ট থেকে হাজার হাজার মানুষকে পুলিশকে হত্যা করেছে তারা চিহ্নিত হোক ও বিচারের মুখোমুখি হোক তা ইউনূস চান না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেওয়ার মাধ্যমে বিনা তদন্তে ও বিনা বিচারে ক্ষমা করে দিয়েছেন একই সঙ্গে তিনি ও তার সহযোগীরাও এসব হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, তাই প্রমাণিত হয়।
মন্তব্য করুন: