অবশেষে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। দলীয় প্রধানের বিদেশ যাত্রা উপলক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে নেতাকর্মীদের সম্বোধন করে রিজভী বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তার গুলশান বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রওয়ানা হবেন। তিনি রাত ৯টায় বিমানবন্দরে পৌঁছবেন এবং রাত ১০টায় রয়েল কাতারি আমিরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।
বিমানবন্দরে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ ও যারনবাহন এবং পথচারীদের চলাচলে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব নেতাকর্মীকে ফুটপাতের ওপর সুঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে চেয়ারপারসনকে বিদায় জানানোর নির্দেশ দেয়া হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লন্ডন ক্লিনিক বলে একটা পুরোনো ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল আছে। সেই হাসপাতালের এনএইচএসের অধীনের একটি হাসপাতালে তাকে (খালেদা জিয়া) ভর্তি করা হবে। হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে তাকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকবেন চেয়ারপারসন।
জানা গেছে, খালেদার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। দলীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা উপলক্ষে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
লন্ডনগামী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর বিমানবন্দরে আগমনকে কেন্দ্র করে বিশেষ সতর্কাবস্থা নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দরের বাইরে (ল্যান্ডসাইড) নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি থাকবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিবি এবং সোয়াতের মতো স্পেশাল টিমের সদস্যরাও।
মন্তব্য করুন: