দেশে এখন জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে এয়ারপোর্টে তিনি একথা বলেন। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনিরসহ শুভানুধ্যায়ীরা।
দেশে এখন জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে এয়ারপোর্টে তিনি একথা বলেন। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনিরসহ শুভানুধ্যায়ীরা।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, এখন আমাদের যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। হিটলার চলে যাওয়ার পরে জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। কিন্তু জার্মানি এখন এক হয়ে গেছে। তিনটি বিষয়ে জাতি যদি একমত হতে পারে তাহলে বাংলাদেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী ও কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আর সেই তিনটি বিষয় হলো- ১. স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ২. গণতন্ত্র ৩. অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘ ১১ বছর পর দেশে আসলাম। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। আমি এ দেশকে ভালোবাসি। এই শহর আমার নিজের শহর। এখানকার আইনাঙ্গনেই আমার বিচরণ ছিলো। আজকে সুদীর্ঘ ১১ বছর পর দেশে আসতে পেরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের শুকরিয়া আদায় করছি। বিমান যখন ঢাকার এয়ারপোর্টে এসে অবতরণ করছিলো তখন আমি স্মরণ করছিলাম সেই সমস্ত তরুণ যুবকদের কথা যারা সর্বোচ্চ সেক্রেফাইজ করে আজ দেশ ও জাতির জন্য একটি মুক্ত পরিবেশ করে দিয়েছে। জার্মানি থেকে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করার জন্য একটি মহাযুদ্ধের প্রয়োজন হয়েছিলো। সেই মহাযুদ্ধে তদানীন্তন তিনটি বৃহৎ শক্তি আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও বৃটেনকে ৫ বছর যুদ্ধ করতে হয়েছে। আমাদের এই যুবকরা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের জন্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আজকের এই দিনে আমি তাদের অবদানকে শ্রদ্ধা ভরে স্বীকার করছি। কিন্তু আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। প্রতিটি বিপ্লবের পরেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফ্রেঞ্চ বিপ্লবের পর হয়েছে, আমেরিকান রেভুলেশনের পরে হয়েছে। এখন আমাদের যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে জাতীয় ঐক্য।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হলে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়। একই বছরের ১৭ই ডিসেম্বর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইংল্যান্ডে চলে যান। এক পর্যায়ে তিনি জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। এরপর গত সেপ্টেম্বরে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন দলটির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। জানা গেছে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনপেশায় নিয়মিত হবেন। তার দুই ছেলে সুপ্রিম কোর্টে আইনপেশায় আছেন।
মন্তব্য করুন: