ajbarta24@gmail.com রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
৮ পৌষ ১৪৩১

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : জামায়াত আমির

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১২ এএম

ছবি সংগৃহীত

স্বাধীনতার পর থেকে সব ধর্মের মানুষকে সরকারি দলের বাড়াবাড়ির শিকার হতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সময় এসেছে এই বাড়াবাড়ির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিলেটে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীনতার পরে কোনো সরকারের আমলে বাড়াবাড়

স্বাধীনতার পর থেকে সব ধর্মের মানুষকে সরকারি দলের বাড়াবাড়ির শিকার হতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সময় এসেছে এই বাড়াবাড়ির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিলেটে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীনতার পরে কোনো সরকারের আমলে বাড়াবাড়ি কোথাও থামেনি। সেই বাড়াবাড়ির শিকার সুনির্দিষ্ট কোনো ধর্মের মানুষ হয়নি। সব ধর্মের মানুষকে এই বাড়াবাড়ির শিকার হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, একসময় দেশে ইসলাম ছাড়া যে পরিমাণ ভিন্ন ধর্মের মানুষ ছিলেন, সেই হার এখন আর নেই। ইসলাম ছাড়া ভিন্ন ধর্মের মানুষের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভিন্ন ধর্মের মানুষ কমে যাওয়ার দুটি কারণ রয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা সম্মানের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্যটি হলো হয়তোবা জন্মের হারে তারা পিছিয়ে রয়েছেন।

বিগত সরকারের আমলে জামায়াত ইসলামী সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের অফিস বিগত ১৩ বছর সিলগালা ছিল। আমাদের দলকে নির্বাচন কমিশন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই চাপ আর কোনো দল পায়নি।

শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশে দখলদারি-চাঁদাবাজি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। শুধু ফ্ল্যাগ বদল হয়েছে; ডান হাত থেকে বাম হাতে গেছে।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা কোনো দায়িত্ব পেলে মালিক হিসেবে নয়, পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো। আমাদের নেতাকর্মীদের আগে যে সম্পদ থাকবে, নির্বাচনের পরেও সমান থাকবে। নিজের দিকে না তাকিয়ে জনগণের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের কর্মীদের স্পষ্ট বলা হয়েছে, কারও সম্পদের দিকে তাকানো যাবে না। যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘিষ্ঠ মানি না। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। ছোট্ট একটা দেশ আমাদের। আমরা শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধির মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরের আমির ফখরুল ইসলাম, সিলেট ইসকনের স্বামী চন্দ্র মহানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মৃতঞ্জয় ধর ভোলা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেটের সভাপতি গুপিশ্যাম পুরকায়স্থ ও খ্রিস্টান চার্চের সহসভাপতি বিকন নিঝুম।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর