তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের ইসলামী দলগুলো। এজন্য দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। যাঁদের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে এবং যাঁরা সরাসরি হামলা চালিয়েছে, তাঁদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবিও জানান ত
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের ইসলামী দলগুলো। এজন্য দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। যাঁদের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে এবং যাঁরা সরাসরি হামলা চালিয়েছে, তাঁদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় উদ্বেগ এবং এসব দাবির কথা তুলে ধরেন ফয়জুল করিম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ফয়জুল করিম বলেন, মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের দুটি ধারা তৈরি হয়েছে; যা দুঃখজনক হলেও একে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘাতে জড়িয়ে পড়া উদ্বেগজনক এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত। ইসলামের দাওয়াতি মেজাজ, তাবলিগের ইতিহাস, চরিত্র বিবেচনায় এমন হানাহানি ও মৃত্যুর কথা চিন্তাও করা যায় না।
বিবদমান দুই পক্ষের নেতাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে ফয়জুল করিম বলেন, ‘দেশের সর্বজনস্বীকৃত উলামায়ে কেরাম এবং প্রয়োজনবোধে দেওবন্দ, করাচি ও আরবের সর্বজনস্বীকৃত উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। কিন্তু এ ধরনের হানাহানি পরিহার করুন।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম আজ বিকেলে কাকরাইলে মারকাজ মসজিদে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতিয়ার রহমান, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান জাফরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বিগ্ন জামায়াতও
তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গোলাম পারওয়ার বলেন, দাওয়াতি দ্বীনের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন তাবলিগ জামাত দীর্ঘদিন ধরে সারা বিশ্বে মুসলিম-অমুসলিমদের মধ্যে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে আসছে। ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে তাদের অনেক অবদান রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও উম্মাহর স্বার্থে সবাই অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবেন। আমরা সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।’
হামলা একপক্ষীয়: মামুনুল হক
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে জুবায়েরপন্থী ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, এটি কোনভাবেই দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষ নয়, বরং একপক্ষীয় হামলা।
মামুনুল হক বলেন, "আজ সকাল ১২ টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি হাই প্রোফাইল বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, যা আমরা প্রস্তুতির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু এর মধ্যেই অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় আমরা যে আক্রমণের স্বীকার হয়েছি এবং আমাদের লোকজন যে হতাহত হয়েছে। তাতে স্পষ্ট যে, এই হামলা একটি রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা।
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করছে। তাদের সঙ্গে এই হামলাকারীরা জড়িত। যারা সাদপন্থী তাদেরকে ইসলাম পরিপন্থী সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
মামুনুল হক সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা এই ঘটনাকে কোনভাবেই দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষ বলে প্রচার করবেন না, কারণ এটি একটি একপক্ষীয় হামলা।
মন্তব্য করুন: