গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগের পরও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে থাকছে শেখ হাসিনার নাম। তবে নতুন পাঠ্যক্রমে তার নামের আগে যোগ হচ্ছে 'স্বৈরাচার' ও 'গণহত্যাকারী' অভিধা। আলোচিত হচ্ছে ‘ডামি নির্বাচন’, ‘দিনের ভোট রাতে’ প্রসঙ্গগুলোও।
২০২১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ বইয়ে যুক্ত হলেও তা একাধিক বইয়ে ছয় পৃষ্ঠাজুড়ে থাকায় তা কমানোর দাবি উঠেছে। তবে এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলো এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।
পরিমার্জিত পাঠ্যক্রমে ’১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের ঘটনাও যোগ করা হচ্ছে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজম বলেন, ইতিহাস নির্মোহ হওয়া উচিত, বাড়াবাড়ি হলে পরিমার্জনও জরুরি।
নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে ২০১২ সালের ভিত্তিতে ২০২৬ সালের পাঠ্যবই ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে। এ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব কম থাকায় কিছুটা ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
মন্তব্য করুন: