গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত সদর গ্রামে একটি রোগাক্রান্ত গরু জবাইয়ের পর অন্তত ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন গাইবান্ধার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন এবং বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের শরীরে ফোসকা, ঘা, জ্বর, চুলকানি ও ব্যথার উপসর্গ দেখা গেছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. মঞ্জুরুল করিম প্রিন্স জানান, প্রাথমিকভাবে রোগটি অ্যানথ্রাক্স বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং আক্রান্তদের বাড়ি পাঠিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর মাহবুর রহমানের একটি অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামের প্রায় ১২০ জনের মধ্যে মাংস ভাগ করা হয়।
১০–১৫ জন জবাই কাজে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, যাদের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, পাশের উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হওয়ার পর তা সুন্দরগঞ্জেও ছড়িয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টিকাদান চলছে। তিনি বলেন, আক্রান্ত পশু জবাই করলে অ্যানথ্রাক্স ছড়াতে পারে, তবে মাংস খাওয়ায় নয়। উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ যৌথভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং আক্রান্ত পশু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আক্রান্তরা নিয়মিত চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে।
মন্তব্য করুন: