পাহাড়ি ঢলে মহারশী নদীর পানি বেড়ে শেরপুরের দুই উপজেলার ৪০ গ্রাম প্লাবিত। শেরপুরে বন্যার চরম অবনতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
তিনি লিখেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ২০২২ সালে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার মানুষদের মতো রাতের অন্ধকারে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলার মানুষদের।
পলাশ লিখেছেন, ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপরে গত ২৪ ঘণ্টা থেকে ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যে শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায় পাহাড়ি ঢল ও বন্যা শুরু হয়েছে। চলমান ভারি বৃষ্টি আরও ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর উপরে ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
পোস্টে তিনি জানান, মেঘালয় পর্বতের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর মধ্যে একটি হলো চোখপট নামক স্থান। দুর্ভাগ্যক্রমে এই স্থানেই সবচেয়ে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে ও এই স্থানটি হলো শেরপুর জেলার বিপরীতে। ফলে পাহাড়ের এই স্থানে যে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে তা খুব দ্রুত নেমে আসছে শেরপুর জেলার নদীগুলোর মধ্যে পাহাড়ি ঢল আকারে। এ কারণেই পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে আজ সারা দিন ও রাতে। শেরপুর জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর দুই উপকূলের মানুষদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের ময়মনিসংহ ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনীকে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন: