ঢাকার নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহলে নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার তথাকথিত ‘মিরর এজেন্ট’ কৌশল। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও গবেষকদের মতে, এই কৌশলে প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদেরই গোপনে ব্যবহার করা হয় তথ্য সংগ্রহ ও মতামত নিয়ন্ত্রণের কাজে। জনপরিচিত ভারতবিরোধী হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এসব ব্যক্তির ওপর সহজেই আস্থা রাখে বিরোধী গোষ্ঠী, যা গোয়েন্দা তথ্য আহরণের কার্যকর মাধ্যম হয়ে ওঠে।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতীতে সরাসরি প্রভাব বিস্তারের কৌশল থাকলেও বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মতাদর্শিক বিভ্রান্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জনপ্রিয় বক্তা, অনলাইন বিশ্লেষক, রাজনৈতিক কর্মী ও তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে। এই প্রক্রিয়াকে ‘ইন্টারনাল ডিসেন্ট ইন্টিগ্রেশন’ বলা হচ্ছে, যেখানে বিরোধী স্রোতের ভেতর থেকেই প্রভাব বিস্তার করা হয়।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এ ধরনের মানসিক ও তথ্যযুদ্ধ রাষ্ট্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের মতে, প্রতিরক্ষা শক্তির পাশাপাশি আধুনিক ও সমন্বিত গোয়েন্দা কাঠামো গড়ে না তুললে ভবিষ্যতে জনমত বিভ্রান্তি আরও গভীর হতে পারে।
মন্তব্য করুন: