হয়রানি আর ভোগান্তির আরেক নাম যেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। লাগেজ চুরি, দালালের দৌরাত্ম্য আর অসাধু কর্মচারীদের অপকর্মে অতিষ্ঠ ছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু এই অন্ধকার চিত্র আমূল বদলে দিতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন নওশাদ খান।
বর্তমানে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ‘এয়ারপোর্টের হিরো’ বা ‘ফাটা কেষ্ট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খানের কাজের মূল মন্ত্র হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিমানবন্দরের শক্তিশালী সিন্ডিকেট ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
প্রায়ই গভীর রাতে বা ভোরে তাকে দেখা যায় বিমানবন্দরের ল্যাগেজ বেল্ট এরিয়ায়, যেখানে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীদের মালামাল খালাস তদারকি করেন। ল্যাগেজ থেকে মূল্যবান জিনিস চুরির অভিযোগে তিনি অনেককেই হাতেনাতে ধরে জেল ও জরিমানা করেছেন। তার এই আপসহীন ভূমিকার কারণে প্রবাসীরা এখন অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে বাড়ি ফিরছেন।
নওশাদ খান শুধু অপরাধ দমনই করেন না, বরং যাত্রীদের অভাব-অভিযোগ ধৈর্য ধরে শোনেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধান দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই সাহসী পদক্ষেপগুলো ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার সদিচ্ছা আর সততা থাকলে পুরো একটি সিস্টেমের আমূল পরিবর্তন সম্ভব। নওশাদ খান আজ কেবল একজন ম্যাজিস্ট্রেট নন, বরং বিমানবন্দরে নির্যাতিত প্রবাসীদের আস্থার শেষ ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন: