ছয় দিনের ব্যবধানে দেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দুর্ঘটনা, না কি পরিকল্পিত নাশকতা এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে।
রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বিশ্লেষক অনেকেই আশঙ্কা করছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশের গার্মেন্টস খাত ধ্বংসে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।
প্রথম অগ্নিকাণ্ড ঘটে ১৪ অক্টোবর, মিরপুরের একটি গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে। ১৬ জন নিহত, আগুন নেভাতে সময় লাগে ৭২ ঘণ্টা।
এরপর ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের কেপিআইভুক্ত ইপিজেড এলাকায় জিহং মেডিকেল ও অ্যাডামস ক্যাপসের গুদামে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে আসে ১৭ ঘণ্টা পর।
এরপর ১৮ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড পুড়ে যায় হাজার কোটি টাকার রপ্তানি পণ্য।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলো নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরির সুপরিকল্পিত চেষ্টা হতে পারে।
তাদের দাবি, কেপিআই এলাকায় এভাবে আগুন লাগা ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা বা উদ্দেশ্যমূলক নাশকতার ইঙ্গিত দেয়।
তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করাই এখন সবচেয়ে জরুরি, যাতে ভবিষ্যতের বিপর্যয় ঠেকানো যায়।
মন্তব্য করুন: