সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ছুটি কমানো এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুনরায় বৃত্তি পরীক্ষা চালুর পরিকল্পনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলছে। রোববার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের স্কুলগুলোতে প্রতি বছরে শিক্ষার দিন মাত্র ১৮০ দিন। অতিরিক্ত ছুটি শিক্ষার জন্য সময় কমিয়ে দেয়। তাই ক্যালেন্ডারে কিছু ছুটি কমানো নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বেসরকারি স্কুলের প্রভাব ও শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্ররা বৃত্তির মাধ্যমে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। পরীক্ষা শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ে সীমিত থাকবে এবং ক্লাসের নিয়মিত মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৭ বছরের ওপর জনগোষ্ঠীর ৭৭.৯% সাক্ষর। বাকি ২২.১% শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে নতুন নীতি জরুরি।
মন্তব্য করুন: