বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সুন্দরবনের নিকটে হওয়ায় শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে রয়েছে। কেন্দ্রের বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য নিয়ে জুনে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আইনজীবী সালেকুজ্জামান সাগর অভিযোগ করেন, একই পদে একজন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার পাচ্ছেন ১ লাখ টাকা, যেখানে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার পাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা।
হাইকোর্টের রুলের পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন্দ্রটি নিয়ে অভিযান চালায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রের নিজস্ব নীতিমালা থাকলেও ভারতীয় কর্মকর্তাদের বেশি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সংখ্যা কম রাখা ও বেতন কাঠামোতে বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। দুদক প্রমাণসহ প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
রামপাল কেন্দ্রটি ২০২২ সালে চালু হয় এবং বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৫২৪ জন কর্মীর মধ্যে ৩৬ জন ভারতীয় নাগরিক। আগস্টে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন হার ৭৮.৫৮ শতাংশ, যা দেশের মোট উৎপাদনের ৭.৬২ শতাংশ।
মন্তব্য করুন: