চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মামুন মিয়া। ক’দিন পরই শেষ হতো শিক্ষাজীবন। এরপর হয়তো প্রবেশ করতেন কর্মজীবনে। ধরতেন পরিবারের হাল। যে মামুনকে নিয়ে এমন স্বপ্ন দেখেছিল তার পরিবার; সেই মামুন এখন আছে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
রামদার কোপে তার মাথায় হয়েছে গুরুতর ক্ষত। এটি এতটা গভীরে গেছে যে, খুলে ফেলতে হয়েছে খুলির একাংশ। খুলির ভাঙা অংশ ফ্রিজে রেখে মাথা মোড়ানো হয়েছে সাদা ব্যান্ডেজে। কালো কালিতে সেখানে লেখা হয়েছে ‘হাড় নেই চাপ দেবেন না।’
ডাক্তার জানিয়েছেন, সুস্থ হতে সময় লাগবে এবং সুস্থ হলেও অনেক বিধিনিষেধ মানতে হবে। মামুন বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমও গুরুতর আহত। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। অস্ত্রোপচারের পর চার দিন পার হলেও এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। বর্তমানে তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় একজন ছাত্রী বাসায় ঢোকার সময় দারোয়ানের সঙ্গে ঝগড়া থেকে। প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছে, এবং তিন শিক্ষার্থী এখনও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
মন্তব্য করুন: