দেশের বিচারকদের শুধুমাত্র সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমেই অপসারণ করা যাবে বলে এক ঐতিহাসিক এক রায়ে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট। ২০ অক্টোবর রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিষয়ে আগের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে।
দেশের বিচারকদের শুধুমাত্র সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমেই অপসারণ করা যাবে বলে এক ঐতিহাসিক এক রায়ে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট। ২০ অক্টোবর রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিষয়ে আগের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে।
এই রায়ের ফলে বিচারকদের অযোগ্যতা বা অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা আরও সুসংহত হলো।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অন্যদিকে, রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাত থেকে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করে।
কিন্তু এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০১৬ সালের ৫ মে একটি বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।
সরকার ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। কিন্তু একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই আপিল খারিজ করে দিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।
পরে, ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকার ষোড়শ সংশোধনীর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদন করে।
রোববারের রায়ের ফলে বিচার বিভাগ তার স্বাধীনতা বজায় রাখলো। এর মাধ্যমে বিচারকদের তদন্ত ও অপসারণের ক্ষমতা রাজনৈতিক বিষয় না হয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার অধীনেই থাকছে।
মন্তব্য করুন: