ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হলেও এ বছর এখনও সেভাবে কোনো কার্যকর জরিপ হয়নি রাজধানীতে। ফলে কোথায় এডিস মশার বিস্তার বেশি, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আগে প্রতি বছর তিনটি জরিপ করত- প্রাক-মৌসুম, মৌসুম চলাকালীন এবং মৌসুম-পরবর্তী। তবে সরকার পরিবর্তনের পর এই জরিপগুলো বন্ধ হয়ে যায়। গত এক বছরে কেবল একটি জরিপ করেছে আইইডিসিআর, যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বেশ কিছু ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। উত্তরে ৬টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণে ৭টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে বেশি লার্ভা মিলেছে বহুতল ভবনে (৫৮.৮৮%)। এরপর রয়েছে নির্মাণাধীন ভবন (১৯.৬৩%), একক বাড়ি (৯.৮%), সেমিপাকা বাড়ি (৮.৮৮%) এবং ফাঁকা জায়গা (২.৮%)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরিপ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব। মৌসুমের শুরুতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত না হলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কার্যকর হয় না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক রোগ নিয়ন্ত্রণ পরিচালক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে রোগের গতি বোঝা যায়। এতে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
বর্তমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবু জাফর জানান, আমরা ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তিত। স্থানীয় সরকার সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বরিশালে সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। কিট মজুত আছে, কিন্তু সম্মিলিত সচেতনতাই মূল।
গতকাল এক দিনে নতুন করে ২৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে বরিশালেই ১৩৮ জন।
সোর্স: স্বদেশ প্রতিদিন
মন্তব্য করুন: