একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ঈদুল আযহার প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সামনে প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনের পর তিনি প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতের সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। আমাদের ঈদগাহ প্রস্তুত। যেহেতু বর্ষাকাল চলছে, আবহাওয়া যে কোনো সময় খারাপ হতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোনো রকমের অসুবিধা যাতে না হয় সেজন্য সামিয়ানার ওপরে ত্রিপাল দেয়া আছে এবং এখানকার ড্রেনেজ সিস্টেম খুবই চমৎকার। পানি জমার কোনো সম্ভাবনা নেই। কাজেই মুসল্লিগণ অত্যন্ত নির্বিঘ্নে এখানে আসতে পারবেন এবং নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রশাসক বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের সম্মানিত বিচারপতিগণ, সরকারের কেবিনেট সেক্রেটারিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে নামাজ আদায় করেন। সাথে সাধারণ মুসল্লিগণ, বিশেষ করে ঢাকাবাসী যারা এখানে আসেন, সকলে যাতে নামাজ আদায় করতে পারেন, এজন্য সকলের স্বস্তির কথা মাথায় রেখে এখানে ঈদ জামাতের আয়োজন করেছি।
যারা ঈদের নামাজে আসবেন তাদের উদ্দেশে শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘যারা জামাতে আসবেন, তাদের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ থাকবে এমন কোনো ডিভাইস বা এমন কোনো যন্ত্রপাতি আনবেন না যেটা নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ মনে হতে পারে। প্রয়োজনে আপনাদের জায়নামাজও আনার দরকার নেই, পানির বোতলও আনার দরকার নেই।
জাতীয় ঈদগাহে সাধারণের প্রবেশের জন্য চারটি গেইট রাখা হয়েছে। নারীদের নামাজের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা গেইট করা হয়েছে। ভিভিআইপি প্রবেশের জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ দিয়ে একটি গেইট করা হয়েছে। ভিভিআইপির নিরাপত্তার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাতীয় ঈদগাহে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন।
জাতীয় ঈদগাহে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাবের আলাদা আলাদা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া থাকবে ফায়ার ব্রিগেডের একটি টিম।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত উপলক্ষে পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর রয়েছে। আমরা আশা করছি যে, এখানে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না।’
সার্বিক প্রস্তুতির তথ্য তুলে ধরে শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘এই ঈদগাহে যাতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সেরকম প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। ভিভিআইপি গ্যালারিতে ২৫০ জনের মতো নামাজ আদায় করতে পারবেন।’
ঈদ উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহের প্রধান ফটকের সামনে নান্দনিকভাবে তোরণ সাজানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে ‘আত্মত্যাগ, আত্মোন্নয়ন ও সহানুভূতির মহিমায় উদ্ভাসিত হোক এবারের ঈদুল আযহা। ঈদ মোবারক।’
ঈদগাহ প্রাঙ্গণে রয়েছে অজুর ব্যবস্থা। আলাদাভাবে খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদগাহের মাঠ প্রায় পুরোটাই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্যান্ডেলের নিচে মাঠে ম্যাট বিছানো হবে। এছাড়া ফ্যান, লাইট ও মাইকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সোর্স: আমার দেশ
মন্তব্য করুন: