একদিন পর ঈদুল আজহা। ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রায় নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সেনাবাহিনী, সাথে মাঠে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব, জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবক। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো যানজটের কবলে পড়তে হয়নি যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা এলাকার পদুয়ার বাজার, বিশ্বরোড, আলেখারচর, ক্যান্টনমেন্ট, নিমসার ও চান্দিনা এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশের এবং স্বেচ্ছাসেবকের উপস্থিতির কারণে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দাউদকান্দি এলাকায় দুপুর ১২টায় র্যাব-১১ এর সিইও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় দাউদকান্দি এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয় সন্দেহভাজন গাড়িতে।
এছাড়াও চান্দিনার ইলিয়টগঞ্জ, বুড়িচং, নিমসার ও দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে যানবাহনের চাপ থাকায় ধীরগতি থাকলেও পুরো মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ। এছাড়াও কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, এবার ঈদে যাত্রীদের বিড়ম্বনা ও ডাকাতের উৎপাত কমাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৩৩টি স্থানকে ডাকাতি প্রবণ ও ২৯টি স্থানকে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১২টি স্থান হলো, দাউদকান্দির বলদাখাল বাস স্ট্যান্ড, গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ড, চান্দিনা বাস স্ট্যান্ড, আলেখারচর মোড়, ক্যান্টনমেন্ট মোড়, নিমসার বাজার ও ইউটার্ন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম।
কুমিল্লা জেলা রোভার কাউন্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন লিটন বলেন, রোভার স্কাউটের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে আটটি পয়েন্টে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। গত রমজানের ঈদে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। এবারও কোরবানির ঈদে মহাসড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা মহাসড়কে কাজ করছি।
হানিফ পরিবহনে ঢাকা থেকে কুমিল্লা এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল কাদের। তিনি দৈনিক আমার দেশকে বলেন, 'দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লা ঈদের সময়ে আসতে চমকের বিষয়। পুরো মহাসড়কে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যদের দেখা গেছে টহলরত অবস্থায়।'
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম দৈনিক আমার দেশকে বলেন, 'এখনো পর্যন্ত মহাসড়কে বড় কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। বাস মালিকপক্ষ যে সকল ‘লক্করঝক্কর’ বাস নামিয়েছে, এগুলো যদি নষ্ট না হয়, তাহলে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। মহাসড়কে গরু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতের বেলা টহল দ্বিগুণ করা হয়েছে।'
সোর্স: আমার দেশ
মন্তব্য করুন: