ajbarta24@gmail.com বৃহঃস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকায় শুরু হল গোলাপি বাসে যাত্রী পরিবহন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল (প্রথম পর্ব) শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে এই কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতির উদ্বোধন করা হয়। সড়কে যানজট নিরসন ও শৃঙ্খলা আনতে ওই পদ্ধতি চালু করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে ২১টি কোম্পানির ২৬১০টি বাস যাত্রী পরিবহন করে। ওই বাসগুলো নিয়েই কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এখন থেকে এসব বাসে যাতায়াতে আগে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে হবে। গোলাপি রঙের এসব বাসে টিকিট ছাড়া কেউ উঠতে পারবেন না; যত্রতত্র বাসে ওঠা-নামাও করা যাবে না। চলতি মাসে মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর এলাকায় যাতায়াত করা অন্যান্য রুটের বাসগুলোতেও কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

আজমপুরে কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরির্ক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার। তারা ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ওই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া ঢাকায় যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ নগরবাসীর সবার সহযোগিতা চান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঢাকা শহরে বাস-মিনিবাস চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন করেছে। এতে রুটে গাড়ি চলাচলে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে। বেশি টাকা আয়ের আশায় যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করান চালকেরা। এতে যানজট ও বিশৃংখলা এবং দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই গত ১৯ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় সড়কে শৃঙ্খলা, ঢাকা মহানগরে যানজট নিরসন এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রন নিয়ে আলোচনা হয়। পরে বাস মালিকদের সঙ্গে চালকের ট্রিপভিত্তিক চুক্তি না করে পাক্ষিক বা মাসিক ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদন করতে নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা। সে নির্দেশনা অনুযায়ী আজ আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে টিকিট কাউন্টার স্থাপন ও ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

সাইফুল আলম বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকার যেসব গন্তব্যে বাস যাবে, সেসব সড়কে নির্দিষ্ট স্থানে কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এখন থেকে বাস কাউন্টার পদ্ধতিতে চালাতে হবে এবং যাত্রীদের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে যাতায়াত করতে হবে। নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না এবং যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রীরাও নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠবেন। চলতি মাসে আরও তিনটি রুটে (মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর) টিকেটিং পদ্ধতি চালু করা হবে। ফলে পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে চালকদের ওপর চাপ কমবে। সড়কে অনেকাংশে শৃঙ্খলা ফিরবে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেনের সভাপতিত্বে কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ এ এস এম আহম্মেদ খোকন, দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: মানবজমিন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর