বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক টানাপড়েন নতুন করে আলোচনায় এনেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, সেভেন সিস্টারস। সম্পর্কের আবহে সামান্য চড়াই-উতরাই হলেই যে অঞ্চলটি দিল্লির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয়, সেটিই আজ আবার আলোচনার কেন্দ্রে।
ভৌগোলিক বাস্তবতায় সেভেন সিস্টারস ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি সরু করিডরের মাধ্যমে, যা পরিচিত শিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেন নেক’ নামে। বাংলাদেশের পঞ্চগড় সংলগ্ন এই সংকীর্ণ পথ কোনো কারণে অকার্যকর হয়ে পড়লে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের দুই-তৃতীয়াংশই পড়ে এই অঞ্চলে, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের সঙ্গে। ফলে দিল্লির নীতিনির্ধারকদের কাছে বাংলাদেশ কেবল প্রতিবেশী নয়, কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সেভেন সিস্টারসেই দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে একাধিক স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী। অতীতে এসব ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার কথাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অন্যদিকে, শারজিল ইমামের মতো বিতর্কিত বক্তব্য ও ঘটনার পর দিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে, চিকেন নেক নিয়ে কোনো আলোচনাই তাদের কাছে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র বাইরে নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অস্থিরতা বাড়লেই সেভেন সিস্টারস ও চিকেন নেক হয়ে ওঠে ভারতের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম।
মন্তব্য করুন: