চলতি মাসের ৪ তারিখ সকালে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সকাল ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১ মাত্রার এ ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুর এলাকায়, যা ঢাকা থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার উত্তর–পূর্বে।
ইউরো-মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
এটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অনুভূত কয়েকটি ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতার অংশ। গত ২১ নভেম্বর দেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হন এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক মাঝারি মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলটি একাধিক সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প ঘটে। ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান প্লেটের চলমান সংঘর্ষ হিমালয় অঞ্চলজুড়ে বিপজ্জনক ভূ-চাপ তৈরি করছে। ঘনবসতি, দুর্বল নির্মাণব্যবস্থা ও নরম মাটির কারণেও এ অঞ্চলে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক বেশি হয়। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঝুঁকি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মন্তব্য করুন: