প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে লাল গ্রহে বজ্রপাতও হতে পারে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার, যা ২০২১ সালে মঙ্গলে অবতরণ করে জেজেরো ক্রেটারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে, তার সুপারক্যাম যন্ত্রের অডিও ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেকর্ডিং থেকে ‘মিনি লাইটনিং’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক নির্গমন ধরা পড়েছে।
ফ্রান্সের গবেষকদের একটি দল রোভার দ্বারা সংগৃহীত ২৮ ঘণ্টার মাইক্রোফোন রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে দেখেছে, এসব বৈদ্যুতিক নির্গমন সাধারণত মঙ্গলের ধূলিঝড় বা ‘ডাস্ট ডেভিল’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। ডাস্ট ডেভিল হলো মাটির গরম বাতাস উপরে উঠলে তৈরি ছোট ঘূর্ণিঝড়, যার অভ্যন্তরীণ ঘূর্ণনের কারণে বৈদ্যুতিক চার্জ তৈরি হতে পারে।
গবেষকদের মতে, এই আবিষ্কার মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলীয় রসায়ন, জলবায়ু এবং ভবিষ্যতে রোবোটিক ও মানব অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণার প্রধান লেখক ড. ব্যাপতিস্ত শিদে বলেন, এটি বৈজ্ঞানিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার।
ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড প্ল্যানেটোলজি জানিয়েছে, এ আবিষ্কারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ থাকা গ্রহের তালিকায় পৃথিবী, শনি ও বৃহস্পতির পাশাপাশি এখন মঙ্গলও যুক্ত হলো। তবে বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচারের লেখকরা বলছেন, নির্গমন শোনা গেলেও দৃশ্যমান না হওয়ায় তা সত্যিকারের ‘মঙ্গলীয় বজ্রপাত’ ছিল কি না, সে বিষয়ে কিছু সংশয় রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন: