যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকদের দেয়া সাময়িক আইনি স্বীকৃতি, টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস (টিপিএস), সমাপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) জানিয়েছে, প্রায় চার হাজার মিয়ানমার নাগরিক এ সুবিধার আওতায় ছিলেন, যা আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে আর বহাল থাকবে না।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম জানান, মিয়ানমারের পরিস্থিতি ‘উন্নত’ হয়েছে এবং নাগরিকরা এখন ‘নিরাপদে’ দেশে ফিরতে পারবেন। তার দাবি, জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া, পরিকল্পিত নির্বাচন এবং যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ টিপিএস সমাপ্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরে।
তবে আন্তর্জাতিক মহল এই যুক্তি মানতে নারাজ। জাতিসংঘ বলছে, জান্তা ঘোষিত নির্বাচন মুক্ত ও স্বচ্ছ হতে পারে না; বিরোধী দল নিষিদ্ধ এবং অং সান সু চি এখনো কারাবন্দি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নতুন বিশ্লেষণকে ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে মন্তব্য করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়ানমারে নির্যাতন, গুম, বাছবিচারহীন হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের কিছু সদস্যও সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তাদের মতে, জান্তার ঘোষিত নির্বাচন ‘বৈধতা পাওয়ার ছুতা।’
টিপিএস ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথম দেয়া হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারি নাগরিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন: