[email protected] শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

খনির বিষাক্ত কার্যক্রমে বিপদে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নদী ও মানুষ : গবেষণা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

উত্তর থাইল্যান্ডের কোক নদীতে দূষণের সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে। মায়ানমার থেকে নেমে আসা এ নদীর পানি দীর্ঘদিন কৃষিকাজে ব্যবহৃত হলেও গত এপ্রিল থেকে স্থানীয়ভাবে সতর্কতা জারি করা হয়। দূষণের শঙ্কায় নদীর পানি ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা এখন ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করছেন।

মার্কিন থিংক ট্যাংক স্টিমসন সেন্টারের নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মূল ভূখণ্ডজুড়ে প্রায় আড়াই হাজার খনি সক্রিয় রয়েছে, যাদের একটি বড় অংশ অনিয়ন্ত্রিত অবৈধ। এসব খনি থেকে সায়ানাইড, পারদ, অ্যামোনিয়াম সালফেটসহ বিষাক্ত রাসায়নিক নদীতে মিশে যাচ্ছে। স্যাটেলাইট বিশ্লেষণে ৩৬৬টি পলিমাটি খনি, ৩৫৯টি হিপলিচ সাইট ৭৭টি বিরল মৃত্তিকা খনি শনাক্ত হয়েছে, যেগুলো সরাসরি মেকং অববাহিকায় বর্জ্য ফেলছে।

গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, মেকং, সালউইন ইরাবতী নদীর বিভিন্ন উপনদীতে ভয়াবহ দূষণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোক নদীর নমুনায় ভারী বিরল মৃত্তিকা এবং আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা বিরল মৃত্তিকা সোনার খনন কার্যক্রমের প্রভাব।

মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতার মধ্যেই সীমান্তে নতুন খনি সম্প্রসারণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। থাই সরকার তিনটি নতুন টাস্কফোর্স গঠন করে দূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবিকোক নদীকে নিরাপদ ব্যবহারযোগ্য রাখতে জরুরি পদক্ষেপ এখনই প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর