দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভূমিকম্পের আতঙ্ক যেন থামছেই না। বাংলাদেশে গত শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরের দিন একই অঞ্চলে আবারও দুইবার ‘আফটার শক’-এর মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। ২৩ নভেম্বর নতুন করে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে প্রতিবেশী মিয়ানমারে, যা এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক অস্থিরতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, কম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দাওয়েই শহর থেকে প্রায় ২৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, আন্দামান সাগরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে কেন্দ্র হওয়ায় এটি তুলনামূলক অগভীর একটি ভূমিকম্প, ফলে ঝাঁকুনি আশপাশের এলাকায় দ্রুত অনুভূত হয়।
এই কম্পনের প্রভাব মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের কিছু অংশেও অনুভূত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে দুটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্প এবং মাঝখানে আবার আফটার শক—এ ক্রমাগত ভূকম্পন আঞ্চলিক ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তার মাত্রা বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বাংলাদেশে শুক্রবারের ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতের কলকাতা, হাওড়াসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও অনুভূত হয়েছিল।
মন্তব্য করুন: