ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ জলবায়ু নীতি বৈশ্বিক উষ্ণতা ও পরিবেশ–সংকটকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রোপাবলিকা ও দ্য গার্ডিয়ানের যৌথ বিশ্লেষণ। জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো, নির্গমন নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা এবং প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসার মতো নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমন আগামী দশকে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এই অতিরিক্ত নির্গমন ২০৩৫ সালের পরবর্তী ৮০ বছরে বিশ্বে গরম–সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়বে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার উষ্ণ ও নিম্ন–আয়ের দেশগুলোতে—যেখানে জলবায়ু–সহনশীল অবকাঠামো দুর্বল এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি ইতিমধ্যেই বেশি।
বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও দেশটি বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় ২০ শতাংশের জন্য দায়ী। অথচ ট্রাম্প প্রশাসন বিদ্যুৎকেন্দ্র, যানবাহন ও শিল্প খাতে নির্গমন–সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করে ফসিল ফুয়েল শিল্পকে আরও উৎসাহিত করেছে। এর ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বৈদ্যুতিক যান ও কার্বন–নিয়ন্ত্রণ খাতে আগের অর্জিত অগ্রগতি শ্লথ হয়ে গেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, তাপদাহ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা, কৃষি–ক্ষতি, খরা ও বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড, সব মিলে জলবায়ু–সংকট আরও গভীর হবে, এবং মানবিক দুর্যোগের পরিমাণ বাড়বে বহুগুণ।
মন্তব্য করুন: