[email protected] সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
২৫ কার্তিক ১৪৩২

তাহলে কি দিল্লিও নির্বাচন চাইছে না?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে ভারতের দুটি নতুন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে আলোড়ন শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দ্রুত গতিতে উত্তর দিনাজপুর ও আসামে এই ঘাঁটি নির্মাণকে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে একটি বড় কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত প্রায় ৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ, যেখানে ঐতিহাসিকভাবে সহাবস্থানের সম্পর্ক থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বাড়তি সামরিক তৎপরতা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন ঘাঁটি উদ্বোধনের পর ইস্টার্ন কমান্ড জানায়, “অত্যন্ত স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে ঘাঁটিটি চালু করা হয়েছে।” পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর.সি. তিওয়ারি ঘাঁটিটি পরিদর্শন করে সেনাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। একই সফরে তিনি আসামের ধুবড়ি জেলায় লাচিত বরফুকন মিলিটারি স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা ভারতের পূর্বাঞ্চলে নতুন সামরিক সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ঘাঁটিগুলোর অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর, বিশেষত শিলিগুড়ি করিডর বা “চিকেন নেক” অঞ্চলের নিকটে। এটি ভারতের মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর একমাত্র স্থলসংযোগ, যার দুই পাশে রয়েছে চীন, নেপাল ও বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ও শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ বেড়েছে।

দিল্লির দ্রুত ঘাঁটি নির্মাণ ও সীমান্ত নজরদারি বাড়ানো দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন ভারসাম্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের গতিপথকেও প্রভাবিত করতে পারে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর