দক্ষিণ কোরিয়ার নৌঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরি USS George Washington পৌঁছানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নো কুয়াং চোল শনিবার এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেন, “শত্রুপক্ষের হুমকির জবাবে এবার আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এর আগের দিনই পিয়ংইয়ং পশ্চিম উপকূল থেকে একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
যুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক যৌথ নিরাপত্তা বৈঠককে ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে নো কুয়াং চোল বলেন, “এটি আমাদের দেশের প্রতি বৈরী মনোভাব ও শত্রুতার প্রকাশ।” দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার অর্থপাচারের অভিযোগ তুলে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, শুক্রবারের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ছিল ওই নিষেধাজ্ঞার সরাসরি প্রতিক্রিয়া।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেক্সেড জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও সিউলের জোটের মূল লক্ষ্য “উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলা করা।” একই সময়ে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া সফরে জানান, তিনি কিম জং উনের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসতে আগ্রহী, যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি।
বুসান বন্দরে মার্কিন রণতরী জর্জ ওয়াশিংটনের আগমন এবং চলমান সামরিক মহড়া উপদ্বীপে নতুন করে উত্তেজনার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, যা উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন: