পর্তুগালের সংসদে জনসমক্ষে বোরকা ও নিকাব নিষিদ্ধের একটি বিল পাস হয়েছে, যা দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেছে ডানপন্থি চেগা দল। প্রস্তাবনায় বলা হয়, কেউ ‘ধর্মীয় বা লিঙ্গজনিত কারণে’ মুখ ঢেকে রাখতে পারবে না তবে বিমান, উপাসনালয় ও কূটনৈতিক ভবনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে।
আইনটি কার্যকর হলে মুখ ঢেকে রাখার কারণে আইন লঙ্ঘনকারীর ২০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তবে এখনো এটি আইনে পরিণত হয়নি, কারণ রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো দে সোসার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি চাইলে বিলটি বাতিলও করতে পারেন।
ডানপন্থি চেগা দল দাবি করেছে, মুখ ঢেকে রাখা নারীদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার পরিপন্থী। কিন্তু বামপন্থি এমপি পেদ্রো দেলগাদো আলভেসসহ সমালোচকরা বলছেন, এটি মূলত মুসলিম ও অভিবাসী নারীদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।
যদিও পর্তুগালে বোরকা বা নিকাব পরা নারীর সংখ্যা খুবই কম, তবুও এই বিল ঘিরে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নারীর অধিকার নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন: