[email protected] মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১৫ আশ্বিন ১৪৩২

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যে ২০ দফা প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অভূতপূর্ব ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ (ইসরায়েল হামাস) শর্ত মেনে নিলে যুদ্ধ মুহূর্তেই থেমে যাবে। গাজা শাসন করবে একটি ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট কমিটি, যেখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। একইসঙ্গে ইসরায়েল উপত্যকা দখল বা সংযুক্ত করবে না। তবে ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি গাজা পুনর্গঠনের নিশ্চয়তা থাকবে।

 

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার ২০ দফা

. গাজাকে উগ্রবাদ সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলে পরিণত করা হবে।
. গাজাকে পুনর্গঠন করে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা হবে।
. উভয় পক্ষ রাজি হলে যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হবে।
. ইসরায়েল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি (জীবিত মৃত) ফিরিয়ে দেবে।
. জিম্মি ফেরতের পর ২৫০ যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী ,৭০০ আটক ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে।
. অস্ত্র ত্যাগ করা হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে।
. গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করবে এবং অবকাঠামো পুনর্গঠন হবে।
. জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ত্রাণ বিতরণ করবে।
. গাজার প্রশাসন পরিচালনা করবে নিরপেক্ষ টেকনোক্র্যাট কমিটি।
১০. অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গাজা পুনর্গঠন করা হবে।
১১. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
১২. কাউকে জোর করে গাজা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না।
১৩. হামাস প্রশাসনে অংশ নেবে না; সব সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হবে।
১৪. আঞ্চলিক অংশীদাররা নিশ্চয়তা দেবে, নতুন গাজা হুমকি হবে না।
১৫. আন্তর্জাতিক অস্থায়ী বাহিনী (আইএসএফ) গঠিত হবে নিরাপত্তার জন্য।
১৬. ইসরায়েল ধাপে ধাপে গাজা ছাড়বে, দখল করবে না।
১৭. হামাস অমান্য করলেও সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল আইএসএফের হাতে যাবে।
১৮. আন্তধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে সহাবস্থানের প্রচার হবে।
১৯. ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথে অগ্রগতি হবে।
২০. যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে স্থায়ী রাজনৈতিক সংলাপ চালু করবে।

 

 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রস্তাবটিতে সম্মতি দিয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা এখনো কোনো লিখিত পরিকল্পনা হাতে পায়নি। এদিকে আল–জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের কর্মকর্তা মাহমুদ মারদাভি বলেছেন, তাঁরা বিষয়টি বিস্তারিত না দেখে মন্তব্য করবেন না।

এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। উপত্যকাটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং লাখো মানুষ মানবিক সংকটে ভুগছেন।

 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর